আমি মনে করি সেই সম্ভাবনা আছে এবং বেশ বড় আকারেই।
তবে এটা নির্ভর করবে আমেরিকার পতনের উপর। চীনের শি জিনপিং চাচ্ছেন ২০৩০ সাল নাগাদ চীনকে বিশ্বের লিডিং পাওয়ারে উন্নীত করতে। এজন্য তার সরকার প্রাথমিকভাবে চীনকে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে সবল করছে এবং ধারণা করা হচ্ছে বর্তমানে চীনের যে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে এমনটা থাকলে ২০২৫ সাল নাগাদ চীন "স্থায়ী" ভাবে মার্কিন অর্থনীতিকে ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু একটা জায়গায় চীন এখনও সুবিধা করতে পারছেনা সেটা হচ্ছে সশস্ত্র খাত। তবে এখানেও শি জিনপিং সরকার মনযোগী হচ্ছে, বিশেষ করে চীনের নৌবাহিনীতে প্রতিবছর যে হারে অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ যোগ হচ্ছে তা ইউরোপ ও ইউএসের নিরাপত্তা বিশ্লেষকদের উদ্বিগ্ন করেছে। এখানে একটা বিষয় বলা দরকার ইতিমধ্যেই বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ নৌবাহিনীতে পরিণত হয়েছে চীনা নৌবাহিনী।
সব মিলে ইউএস ও চীন নতুন করে স্নায়ুযুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। আর এক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে কেবল অর্থনৈতিক নয় বরং সশস্ত্র প্রতিযোগিতাও বেড়ে যেতে পারে। আর এই বৈশ্বিক অস্থিরতার সুযোগ নিতে পারে এই দুইপক্ষের দুইব্লকের রাষ্ট্রগুলো।
মিয়ানমার চীনাপন্থী রাষ্ট্র এটা বেশ সুপ্রতিষ্ঠিত। মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের রোহিংগা সমস্যা আছে যেখানে মিয়ানমারের পক্ষে চীন বরাবরই সাফাই গেয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ মুটামুটি নিরপেক্ষ ব্লকে তাই ইউএস বা চীন কারও কাছেই আলাদা করে আমাদের "ভাত" নেই। কিন্তু ইউএস ডি ফ্যাক্টো কারণে চীনের বিরুদ্ধ হয়ে আমাদের পাশে দাড়াবে।
অনেকে বলে থাকেন যে পারমাণবিক অস্ত্রের যুগে এখন আর পুনরায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সম্ভাবনা নেই। ইহা একেবারেই মিথ্যা নয় তবে আমরা দেখেছি পৃথিবীতে এক সুপারপাওয়ার থেকে আরেক সুপারপাওয়ারের উত্থানের পটভূমিতে রয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
সুতরাং বিশৃঙ্খলা পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হতেই পারে। মায়ানমার এশিয়াতে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও অন্যান্যদের টেক্কা দিতে নিজেকে চীন-শাসিত বিশ্বে চীনের চামচা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলে অবাক হবার কিছুই থাকবেনা।সেখানে আমাদের মতো নতজানু পররাষ্ট্রনীতির দেশ তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে না।
মায়ানমারের জনগণ বাংগালীদের মনে করে বার্ব্যারাস, অর্থাৎ "বর্বর জাতি"।
No comments